মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
মুন্সীগঞ্জ থেকে গাজী মাহমুদ পারভেজ:
১৬ জুলাই শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভাধীন পূর্বশীলমান্দি গ্রামের আলোচিত আরাফাত হত্যার ২ মাস পর নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত লাকড়ির ঘরে মাটির নিচ থেকে লাশ উদ্বার করেছে সদর থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকা এবং হত্যার দায় স্বীকার করায় স্ত্রী আকলিমা আক্তার ও মতিনের মেয়ের জামাই মো: রিয়াজ (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গত ২০ রমজান ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন আরাফাত (৪৩)। পরে এলাকার লোকজন ধরাধরি করে তাকে বাড়িতে দিয়ে যায়। একই দিন দুপুরে তার স্ত্রী সবাইকে জানায় তার স্বামী ঢাকাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছে। এরই সূত্র ধরে ১৫ মে শনিবার স্ত্রী সাধারণ ডায়েরী (৬২৯) করেন স্ত্রী আকলিমা আক্তার (৪০)। পত্রিকায় নিখোঁজ সবাদও ছাপানো হয়। মুন্সীগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন আরাফাতের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (৪০)। মামলা করেই সে বাবার বাড়ি চলে যায়।
এদিকে আরাফাত মোল্লা নিখোঁজের আলোকে আত্মীয় স্বজনরা খোঁজাখুজি করতে থাকে। পুলিশও চেষ্টা অব্যাহত রাখেন শুক্রবার সকালে আরাফাতের স্ত্রী আকলিমা আক্তার। তার স্বামীর বন্ধু শিপলু সরকারের কথা বলার এক ফাঁকে বলে ফেলে যে সে তার স্বামী আরাফাত মোল্লাকে খুন করেছে। তৎক্ষনাত শিপলু সরকার মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে ফোনে জানালে পুলিশ ঘনটাস্থলে গিয়ে নিহত আরাফাতের স্ত্রীকে ও তার সহযোগি পাশের মতিনের মেয়ের জামাই যশোর জেলার (বর্তমানে পাশের বাড়িতেই শশুর বাড়িতে থাকে) রিয়াজ মিয়া (২৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং আকলিমার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে যে লাকড়ির ঘরে আরাফাতকে মেরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছে। পুলিশ আবার ঘটনাস্থল গিয়ে আরাফাতের পরিত্যক্ত একটি লাকড়ি রাখার ঘরের মাটির নিচে থেকে গলিত লাশ উদ্বার করে সুরতহাল নোট করে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
এ সময় ঘটনাস্থল উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেব, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ উল ইসলাম, সদর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক, ওসি তদন্ত রাজিব হোসেন খান। এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ওপ্রশাসন) সুমন দেব বলেন, আরাফাত নিখোঁেজর আলোকে তার স্ত্রী মুন্সীগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। তদন্তের স্বার্থেই আমরা তার ওয়াইফকে ইন্টারগেশন করি এবং আমাদের ইন্টাগেশনে আরাফাতের স্ত্রী স্বীকার করে যে সে ও আরেকজন সহযোগি মিলে আরাফাতকে মেরে তাদের লাকড়ি রাখার ঘরে মাটির নিচে পুঁতে রেখেছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাকে ঘটনাস্থল নিয়ে আসি এবং তার দেখানো স্থান থেকে আরাফাতের লাশ উদ্বার করি । আকলিমা ও তার সহযোগি রিয়াজকে গ্রেফতার করি।